রোববার (১১ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হাত থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ক্রিকেট তারকা মাশরাফি। এদিকে একই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছ থেকে মনোনয়ন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে দোড়-ঝাঁপ করছেন জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের এসব নেতারা। এসব নেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের হেবি ওয়েট প্রার্থী রয়েছে কয়েকজন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, মাশরাফি ছাড়াও এ আসন থেকে নৌকার টিকিট নিতে যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিল্পপতি নেতা শেখ আমিনুর রহমান হিমু, জেলা আ’লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামউদ্দিন খান নিলু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাসুদেব ব্যাণার্জী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ মো. নুরুজ্জামান, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আয়ুব আলী, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি এস এম আসিফুর রহমান বাপ্পি, সাবেক সংসদ সদস্য এস কে আবু বাকের, যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা শর্মী, ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আ’লীগের নেতা মুন্সি কামরুজ্জামান কাজল, লোহাগড়া আ’লীগের উপদেষ্টা সৈয়দ হাসান ইকবাল, জেলা আ’লীগের সদস্য মো. হাসানুজ্জামান, জেলা আ’লীগের সদস্য মো. রাশিদুল বাশার ডলার, আ’লীগের নেতা অ্যাডভোকেট শেখ মো. তরিকুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা মো. হাবিবুর রহমান তাপস, আ’লীগ নেতা মো. সুজন রহমান।
এদিকে নড়াইল পৌর, উপজেলা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ মানুষ মাশরাফির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, মাশরাফি নির্বাচন করলে আমাদের বিশ্বাস তিনি এমপি এবং মন্ত্রী হবেন। ফলে অবহেলিত নড়াইলের সার্বিক উন্নয়ন সংঘটিত হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইলের এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ বরাবরই ভালো ফলাফল করেছে। ৭৩, ৯১, ৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক জয়লাভ করে। তবে ১৪ সালে আ’লীগের নৌকা নিয়ে জয়লাভ করে ওয়ার্কাস পার্টি নেতা বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান। আসনটিতে ৮৬ ও ৮৮ সালে জাতীয় পার্টি এবং ১৯৭৯ এবং ২০০১ উপ-নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
আরএ