মিলনের পক্ষে স্ত্রী নাজমুন্নাহার বেবি সহায়তা কামনা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে একটি আবেদন করেন।
সিইসি সঙ্গে সাক্ষাতের প্রত্যাশায় নির্বাচন কমিশনে এলেও বেবির সে সুযোগ হয়নি।
নাজমুন্নাহার বেবি সাংবাদিকদের জানান, আমার স্বামী কোর্টে হাজিরা দিতে পারছেন না। চাঁদপুর কোর্ট এলাকা পুলিশ, ডিবি ঘিরে রেখেছে। বোরকা পরা কোনো নারী কোর্টে গেলে তার মুখোশ খুলে দেখা হচ্ছে। আমরা কোর্টে যেতে চাই। কিন্তু যেতে পারছি না।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও তার সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। পরে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানমের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তারা বলেছেন বিষয়টি দেখবেন।
চিঠিতে এহছানুল হক মিলন বলেন, দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করার কারণে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলোতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হই। সম্প্রতি দেশে ফিরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।
কারণ হিসেবে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরের বাড়ি ও কোর্ট প্রাঙ্গণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিতৎপর রয়েছে।
‘আমি একাধিক বিশ্বস্তসূত্রে নিশ্চিত হতে পেরেছি যে, পুলিশ আমাকে আদালতে হাজির হওয়ার সুযোগ না দিয়ে বাইরে থেকে গ্রেফতার, অতঃপর নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের লক্ষ্যে এমন ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যেহেতু নির্বাচনী আইন অনুযায়ী বর্তমান পুলিশসহ সমগ্র প্রশাসন ইসির নিয়ন্ত্রণাধীন, সে কারণে আমাকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনে এহেন বেআইনি তৎপরতা বন্ধে আমি ইসির হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ’
পাবলিক পরীক্ষায় নকলবিরোধী কার্যক্রম সম্পন্ন করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন মিলন। ২০০৩ সালের দিকে তিনি হেলিকপ্টারে করে নিজেই বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালান। তারপরের বছর থেকেই দেশ নকলমুক্ত হওয়া শুরু হয়।
এক এগারো সরকারের সময় চার দলীয় জোট সরকারের অনেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা হেভিওয়েট নেতাদের মতো তার বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়। এরপর দীর্ঘদিন তিনি মালয়েশিয়ায় ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
ইইউডি/এএ