রোববার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় বান্দুরা ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায় শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত অন্যরা হলেন,- নুর ইসলাম (৩৫) ও তার ছোট ভাই কামাল (২৬)।
আহত যুবলীগ নেতা মাসুদ রানা উপজেলা হাসনাবাদ এলাকার মৃত করম আলীর ছেলে এবং নুর ইসলাম ও কামাল একই এলাকার শেখ রহিমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১২টায় নুর ইসলাম তার ছোট ভাই কামালকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছে পুকুর পাড়ে এলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই এলাকার নাহিদ, ইমরান, ইখতিয়ার ও জিয়া মেম্বারসহ ১০/১২ জন রাম দা ও টেঁটা নিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা কামালকে রাম-দা দিয়ে কোপ দেয় এবং নুর ইসলামকে টেঁটা বিদ্ধ করে। এসময় চিৎকার শুনে মাসুদ রানা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে হামলাকারীরা। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাদের ঢামেকে নিয়ে আসা হয়।
নুর ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কিছুদিন আগে তাদের ২টি ছাগল চুরি হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে থানা ও এলাকার নেতাদের জানায় তারা। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়। এর জের ধরে রোববার অভিযুক্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
আরএ