সোমবার (১৯ নভেম্বর) বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় বক্তারা এ অভিযোগ করেন। পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনস্থ বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিবি) কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নেতারা অভিযোগ করেন, সরকারি দল ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছে। তারা নানাভাবে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাচ্ছে। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর আগেই অনেক প্রার্থীর প্রচারণা খরচ নির্ধারিত সর্বোচ্চ নির্বাচনী ব্যয়কে ছাড়িয়ে গেছে। জমকালো বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার ইত্যাদি প্রচারসামগ্রী এখনও সরানো হয়নি।
সভায় নেতারা আরও অভিযোগ করেন, বার বার বলা সত্বেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এমনকি ইসি পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর পুলিশের বেআইনিভাবে খবরদারির ব্যাপারেও ইসি নীরব।
জনগণের কাছে আগে থেকেই নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে তাদের উচিত জনগণের মনে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা। তার জন্য সরকার ও সরকারি দলের তল্পিবাহক না হয়ে ইসিকে নিরপেক্ষ ও দৃঢ় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। কিন্তু ইসি সেই পথে হাঁটছে না। অবাধ নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির ন্যূনতম চেষ্টাও দেখা যাচ্ছে না। এভাবে ইসির প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা অব্যাহত থাকলে এবারের নির্বাচনও কার্যত একটা প্রহসনে পরিণত হবে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ’র (মার্কসবাদী) শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের ফিরোজ আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, বাসদের (মার্কসবাদী) ফখরুদ্দিন কবির আতিক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এমএএম/আরআর