সোমবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের সলিমাবাদ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
লাঞ্ছনার শিকার ওই নেতার নাম ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।
সন্ধ্যায় আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ ব্যাপারে নাগরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আশরাফুলের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আশরাফুল ইসলাম টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র কিনেছেন। তবে, দু’দিন আগে তিনি কোনোভাবে জানতে পেরেছেন যে এ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আহসানুল ইসলাম টিটুকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এজন্য আশরাফুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার জন্য এক ভাগ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য সোমবার তিনি নাগরপুরের সলিমাবাদ ইউনিয়নে যান। দুপুর ২টার দিকে সলিমাবাদ মোড়ে এলে টিটু গ্রুপের আওয়ামী লীগ কর্মীরা তার গাড়ি গ্লাস ভাংচুর করে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। তিনি গাড়ি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করলে সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে টিটু গ্রুপের লোকজন আশরাফুলকে ধাওয়া করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর আশরাফুল গাড়ি থেকে নেমে ঘুনিপাড়া আব্দুর রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণি কক্ষে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিকেলে নাগরপুর উপজেলা সদরে নিয়ে আসেন।
আহসানুল ইসলাম টিটুর সমর্থক নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, আওয়ামী লীগ কর্মীরা আশরাফুল ইসলামের ওপর হামলা করেননি। তার গাড়ি একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে এর চালক আবুল কাশেম আহত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জনগণ তার গাড়ি ভাংচুর করেন।
অটোরিকশাকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দাউদুল ইসলাম বাদী হয়ে আশরাফুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগ দু’টি তদন্ত করে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এসআই