ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ইভিএম ব্যবহার করলে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মামলা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
‘ইভিএম ব্যবহার করলে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মামলা’ সেমিনারে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা

ঢাকা: সংবিধান অনুযায়ী ইভিএম ব্যবহার করা রাষ্ট্রীয় অপরাধ। সংবিধান লঙ্ঘন করে যদি ইভিএম ব্যবহার করেন, তাহলে রাষ্ট্রীয় অপরাধ করবেন। এই অপরাধ করলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মামলা করা হবে। রাষ্ট্রীয় অপরাধ করার দায়ে একদিন হতে হবে বিচারের মুখোমুখি।

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত 'ইভিএমকে না বলুন, আপনার ভোটকে সুরক্ষিত করুন' শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব।

সেমিনারে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সংবিধান সংশোধন ছাড়া ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না।

জনগণের কাছে ইভিএমের কোনো স্বচ্ছতা নেই। সেমিনারে দেখানো হয়েছে, কীভাবে রাজ্জাকের ভোট খালেকের নামে চলে যাবে।

ইভিএমের প্রোগ্রামিং কারা তৈরি করছে তা জাতির কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইভিএমে ভোট জালিয়াতি করে পার পাবেন না, মামলা হবে, একদিন জেলে যেতে হবে। ইভিএম দিয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করবেন না।  

পুলিশ, আনসার ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের পরে আপনাদের এদেশেই থাকতে হবে। তাই কোনো দলের হয়ে কাজ করবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে যাবেন না, তা না হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।  

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। এজন্য জনগণের কোনো কথাই কানে যাচ্ছে না। রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া দল আওয়ামী লীগ নানা কৌশল করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। যখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, তখনই এ ধরনের কৌশল গ্রহণ করা হয়। আমরা নির্বাচনে যাবো, জনগণ ভোট বিপ্লব করবে।  

ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশকে যদি শান্তির পথে রাখতে হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসির ভয় কীসের। কমিশনকে বলেছি, তারা কতটি ইভিএম ব্যবহার করবে, তারা বলেছে, সীমিত আকারে, এটা কোনো সংখ্যা নেই। সহজেই বোঝা যায়, তাদের মতলব খারাপ। জনগণকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন, তা না হলে লুকিয়ে থেকেও রেহাই পাবেন না।  

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যারা ৫ জানুয়ারি উড়ে এসে চাপ দিয়ে নির্বাচন করতে বাধ্য করেছে, তারাও বলেছে এবার আর প্রহসনের নির্বাচন মানবে না। আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।  

তিনি বলেন, বিনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মতো প্রতিদিন যদি একটা ব্রিফিং করা যেত, তাহলে সরকার যে কতরকম বদমাইশি করছে তা বলা যেত। তারা যে পাপ করেছে, সেটার বোঝা বহন করতে হবে।  

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের উপর আস্থা রাখতে হয়, তাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা থাকতে হয়। সেখানে স্বচ্ছতা নেই বলেই ইসির উপর আস্থা রাখতে পারছি না।  

সুব্রত চৌধুরী বলেন, ইভিএম মহা ভোট ডাকাতির পদ্ধতি। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে বোকা বানিয়ে ইভিএমের উপর ভর করে আবারো ক্ষমতায় থাকতে চায়।  

সেমিনারে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং টেস্টিং ডিভাইসে দেখানো হয় কীভাবে ইভিএমের মূল ভোটিং প্রোগামিং পরিবর্তন করা যায়। এর মাধ্যমে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করা সম্ভব। সময়ভিত্তিক, সংখ্যা নির্ভর ও চূড়ান্ত ফলাফল নির্ভরভিত্তিক কারচুপি সবই করা সম্ভব।  

সেমিনারে ইভিএম মেশিন তৈরি করে ভোট কারচুপির পদ্ধতি দেখান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ফয়সাল আলীম, আশরাফ উদ্দিন বকুল, তানবিরুল হাসান তমাল, মিজানুর রহমান ও তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
টিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।