বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার নীলক্ষা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের তীরবর্তী মেঘনা নদী থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জয়নাল মেম্বরের ছেলে কাউসার (৩২) ও একই গ্রামের আব্দুল হাই (৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নীলক্ষা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সকালে বাঁশগাড়ি গ্রামের বালুমাঠ এলাকায় আশরাফুল হক ও প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় স্কুলছাত্র রানা। পরে দুপুরে এ সংঘর্ষ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন নীলক্ষায় বিবাধমান দু’টি গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। ওই সময় তৎক্ষণিক চারজন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে অর্ধশতাধিক। এ ঘটনায় রায়পুরা থানায় দু’টি হত্যা মামলা ও অস্ত্র আইনে দু’টি মামলাসহ মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। সংঘর্ষের পর ১৩ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মোজাফ্ফর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার সাতদিন পর বিকেলে গোপিনাথপুর মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকায় দু’জনের মরদেহ ভেসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষরা তাদের হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।
এরআগে, বাঁশগাড়ি গ্রামের আবদুল্লাহ ফকিরের ছেলে স্কুলছাত্র তোফায়েল রানা (১৬), নিলক্ষা ইউনিয়নের বাড়ীগাঁও গ্রামের সোহরাব (৩০) ও একই ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের সোবান মিয়ার ছেলে স্বপন (২৭) ও নাসির উদ্দিনের ছেলে মরম আলীর (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
** নরসিংদীতে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
** নরসিংদীতে আ’লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩
** নরসিংদীতে আ’লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ১৩
** নরসিংদী সংঘর্ষ: আটক ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২ মামলা
** নরসিংদীর সংঘর্ষে হতাহতের দায় আ’লীগ নেবে না
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এসআরএস