তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক দল বা জোট দেশের ক্ষমতায় আসুক আমরা মনে প্রাণে তাই চাই।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কার্যালয়ে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত “মহান বিজয় দিবস ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়”- শীর্ষক সংবাদ সম্মলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে। এরই মধ্যে সব জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে পরিচালিত হবে নির্বাচন কেন্দ্রিক বিভিন্ন কর্মসূচি। তবে প্রশাসকের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করবে না মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসিত করা ও তাদের হারানো সম্মান ফিরিয়ে দিয়ে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা প্রকৃত মহত্বের নজির দেখিয়েছেন। দেশি-বিদেশি সব হুমকির বিরোধিতা উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় তুলে তিনি জাতির কলঙ্ক মোচন করেছেন। সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন তিনি। দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। সল্পোন্নত দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে, যোগ করেন মন্ত্রী।
শ্রমিক-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী জামায়াত, রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রক্ত ভেজা বাংলায় রাজাকারমুক্ত সংসদ চাই।
একই সঙ্গে তরুণদের প্রথম ভোট স্বাধীনতার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারীদের পক্ষে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিজয় মাস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস উপলক্ষে শাহবাগে সব শ্রেশি-পেশার মানুষের সমাবেশ। ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রায়ের বাজার বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। ১৫ ডিসেম্বর শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক-কর্মচারীদের সমাবেশ। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন ও সারাদেশে বিজয় মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ খান, সালহ উদ্দিন, এমদাদ হোসেন মতিন, আব্দুল মালেক মিয়া, ওসমান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
জিসিজি/এসআই