ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আগামী নির্বাচন ইসির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
আগামী নির্বাচন ইসির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ বিআইআইএসএস মিলনায়তনে সেমিনারে বক্তারা-ছবি-ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ‘আগামী নির্বাচন ফ্রি হলেও ফেয়ার নাও হতে পারে। তাই আগামী নির্বাচন কেমন হবে তা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। ফেয়ার ইকেলশনের জন্য সরকারকেও এ চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, কারণ আন্তর্জাতিক মহল তাকিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে।’

শনিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে সেন্টার পর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত 'রাজনীতি এবং জনগণের ভোটাধিকার' শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘অনেক ইতিহাস আছে যে, নির্বাচন ফ্রি হলো কিন্তু ফেয়ার হলো না।

দীর্ঘলাইনে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছেন ভোট দেওয়ার জন্য অথচ বুথে ঘটে অন্য ঘটনা। বুথে গিয়ে তাকে বলা হলো তুমি হাতে কালি মেখে চলে যাও আর ব্যালট পেপার দিয়ে দাও- এমন যেন না হয়। ’

তিনি বলেন, ‘এসব দেখার বিষয় ইসির। কিন্তু এখন ইসি নিজেরা মাঝে মধ্যে এমন সব কথা বলছে যা তারা নিজেদের বিতর্কিত করে ফেলছে। মনে রাখতে হবে বিশ্ব তাকিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে। সরকারের অধীনে এর আগে নির্বাচন হলেও এবারই প্রথম দলীয় সরকারের অধীনে সব দল অংশ নিচ্ছে। মনে রাখতে হবে, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ফ্রি ও ফেয়ার করতে ইসির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। একে গ্রহণযোগ্য করতে সব রকম সহযেগিতা করতে হবে সরকারকে। ’

সেমিনারের প্রথম অধিবেশনে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা বেশি। কিন্তু এখন কিছু মানুষ জামিন নিয়ে হাইকোর্টে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা ঘর ছাড়া। তারা জামিন কখন নেবেন আর নির্বাচনে কখন আসবেন। আবার প্রিজাইডিং কে হবেন তা নিয়েও নানা কথা হচ্ছে। ফেয়ার নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রথমে দেখতে হবে গ্রাম-শহর-বস্তির মানুষ হয়রানি হচ্ছে কিনা, তারা জামিন পাচ্ছে কিনা।

তিনি বলেন, অন্তত একটি মাস সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করলে ভোট সুষ্ঠু হবে। কারণ ভোট মানুষের মুক্তির পথ, উন্নয়নের পথ, ক্ষমতায়নের পথ। জনগণকে চলার পথ সুগম করে দেন, তাদের প্রতি ভরসা রাখুন। ভোটের অধিকার দিন, জনগণ জানে কাকে ভোট দিতে হয়।

টিভি উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. এম আতাউর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
ইএআর/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।