মনোনয়নপত্র বিক্রির হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১৩ জন, বিএনপির ১৫ জন ও জাতীয় পার্টির ৯ জন প্রার্থী। দলের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সবাই তাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে আশাবাদী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ২৩টি। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের দাম ৩০ হাজার টাকা; সে হিসাবে এ খাতে দলটির আয় হয়েছে ১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রির হিসাবে, ৩০০টি সংসদীয় আসনে প্রতি আসনের বিপরীতে ১৩ জন প্রার্থী হয়েছেন।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের প্রার্থী চূড়ান্ত। তবে জোটের সঙ্গে সমঝোতার পর তা প্রকাশ করা হবে।
এদিকে প্রায় এক দশকের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ফরম বিক্রিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ছাড়িয়ে গেছে। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলটির ৪ হাজার ৫৮০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম কিনেছেন।
মনোনয়নপত্র কেনার সময় নেতাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ফি নিয়েছে বিএনপি। তবে জমা দেওয়ার সময় আরও ২৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন বিক্রি ও জমা থেকে দলটির আয় হয়েছে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। প্রতি আসনে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় ১৫ জন।
বিএনপির দফতরের দায়িত্বে নিয়োজিত সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির ৪ হাজার ৫৮০টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে।
তবে কী পরিমাণ মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে তার সঠিক হিসাব দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
দলীয় সূত্র জানায়, এবার দশম জাতীয় সংসদের বিরোধী দল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিও (জাপা) মনোনয়ন বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে। দেশজুড়ে জাপার ২ হাজার ৮৬৫ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
এবার প্রতি মনোনয়নপত্রের দাম ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে জাপা। প্রতিটি আসনে জাপার প্রার্থী ৯ জন।
যোগাযোগ করা হলে জাপা চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী বাংলানিউজকে বলেন, আগে আমাদের এতো মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়নি। এ খাতে দলটির আয় হয়েছে ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোক্তা ও শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের হয়ে নির্বাচনে লড়তে ৩৫০জন মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় ফরম নিয়েছেন। প্রতি মনোনয়নপত্রের দাম ৫ হাজার টাকা হিসাবে এবার দলটির আয় হয়েছে ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
জাসদ (ইনু) থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ২৪৩ জন। প্রতিটির দাম ২ হাজার টাকা হিসাবে আয় হয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
এবার নির্বাচনে অংশ নিতে আ স ম রবের দল জেএসডি থেকে ৫৪৭টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। প্রতিটির দাম ৫ টাকার হিসাবে দলটির আয় হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়াও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারার প্রতিটি মনোনয়নপত্রের দাম ২০ হাজার টাকায় কিনেছেন ১৫০ জন নেতা। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৬০টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। প্রতিটির দাম ১০ হাজার টাকা হওয়ায় এ খাত থেকে দলটির আয় হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এসই/এমএ