একইসঙ্গে তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে জরিমানা স্থগিত করেছেন আদালত।
রফিকুল ইসলাম মিয়ার আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, আপিল অ্যাডমিশন (আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ) হয়েছে। একইসঙ্গে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন।
রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, অর্থদণ্ড স্থগিতও করেছেন আদালত।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব তাকে দণ্ড দেন।
আদেশে ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া রফিকুল ইসলাম মিয়া আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করার আদেশ দেওয়া হয়। তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ কিংবা গ্রেফতারের তারিখ থেকে কারাদণ্ডের মেয়াদ শুরু হবে।
২০০১ সালের ৭ এপ্রিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার নামে এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ জারি করে। ওই বছরের ১০ জুনের মধ্যে বিবরণী দাখিল করতে বলা হলেও তিনি তা করেননি।
পরবর্তী সময়ে ২০০৪ সালে তৎকালীন দুর্নীতি ব্যুরোর দুর্নীতি দমন অফিসার (টা:ফো:-৪) সৈয়দ লিয়াকত হোসেন উত্তরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর ওই বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ইএস/এএ