এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করতে চান কাদের সিদ্দিকী।
তবে এ আসনে এ দুই প্রার্থীর সবচেয়ে ছোট ভাই শামীম আল মনছুর আজাদ সিদ্দিকীও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
কোনো কারণে তার প্রার্থিতা আটকে গেলে তার ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী এ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন লতিফ সিদ্দিকী। ১৯৭৩, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মন্ত্রিত্ব পান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েই এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ওই বছরই সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে মন্ত্রিত্ব হারান এবং দলীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকে অপসারিত হন। এরপরই সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।
এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে হওয়া উপ-নির্বাচনে তার আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী জয়ী হন। ওই উপ-নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হয়ে কাদের সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ঋণখেলাপির কারণে উচ্চ আদালত তাকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সোহেল হাজারীকেই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
কালিহাতীর মানুষের সঙ্গে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর রয়েছে আত্মার সম্পর্ক। মানুষের ভালোবাসা আর দাবিপূরণে তিনি এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন তার অনুসারী মোশারফ হোসেন সিদ্দিকী ঝিন্টু।
কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ১৯৯৬ সালে কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৯ সালে দল থেকে বেড়িয়ে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত শওকত মোমেন শাহজাহানের কাছে পরাজিত হন। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনেও ওই আসন থেকেই পুনরায় নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকী।
এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে কালিহাতী আসন থেকেও কাদের সিদ্দিকী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন তার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী আর বিএনপির প্রার্থী ছিলেন শাহজাহান সিরাজ। তবে দুই ভাইকে পরাজিত করে শাজাহান সিরাজ নির্বাচিত হয়ে জোট সরকারের মন্ত্রিত্ব লাভ করেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কাদের সিদ্দিকী ও তার ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী মনোনয়নপ্রত্র সংগ্রহ করেছেন। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আইনি জটিলতা নিরসন হলে তিনিই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এসআই