সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলেন নির্বাচনী ইশতেহারে অর্থনৈতিক দিক কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে আলোকপাত করে গণফোরাম।
দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলটিতে সদ্য যোগ দেওয়া অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন বলেন, যারা মনোনয়ন পাচ্ছেন তারা সবাই সৎ ও নির্ভিক। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ গরিব হতে পারে কিন্তু তারা বোকা নয়। তাই জনগণকেই নিজেদের অধিকার নিজেদের ফিরিয়ে নিতে হবে।
এ সময় আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুই নেতার ফোনালাপ ফাঁস হওয়া প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, জোট হলে আসন ভাগাভাগি তো করতেই হবে। এটা অনেকটা পিঠা ভাগের মতো, একটু টানাটানি তো হবেই। তবে ব্লাকমেইল বলে যে শব্দটা, তা ঠিক নয়। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ এখনো ভালো মানুষকে সম্মান করে। তারা ভালো মানুষকে মূল্যায়ন করতে ভুলে যায়নি। সেখান থেকেই আমরা বিশ্বাস করি, আমরা পারবো। কেননা, আমরা ১৯৭১ এর পরীক্ষা পাস করেই এতদূর এসেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ভোট কারচুপির আশঙ্কা তো সব দেশে সব নির্বাচনেই হয়। আমাদের এখানেও আশঙ্কা রয়েছে। অর্থ, অস্ত্র, ক্ষমতার মধ্য দিয়ে কেউ কিছু চাইলেই তো হবে না, আমরা ঐক্যের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবো। ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কেউ বাধা দিলে সেটা হবে স্বাধীনতাবিরোধী। প্রয়োজনে আমাদের জনগণকেই ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। তবে নিজের ভোট পাহারা দেওয়াটা গৃহযুদ্ধ নয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, যেসব নীতি ও আদর্শকে ভিত্তি করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো, আমাদের বর্তমান সংগ্রাম সেসব নীতি-আদর্শ পুনর্বহাল করার। এ সরকার যেভাবে দেশ চালিয়েছে, তাতে আমার মনে হয় কিছু ভুল আছে। আগামীর বাংলাদেশে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। প্রবৃদ্ধির সুফল সকল মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে, বিশেষ করে বঞ্চিত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার দৃঢ় প্রত্যয় আমাদের।
রেজা কিবরিয়া বলেন, বাজার অর্থনীতিতে আমাদের সাধারণ ভোক্তাদের অধিকার স্বার্থ দেখার কেউ নেই। যথাযথ আইনি কাঠামোর মাধ্যমে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে। বাংলাদেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত। তাদের জাতীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং নম্বর ও পাশের হার বৃদ্ধির অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এইচএমএস/এমজেএফ