মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন, নাকি কাদের সিদ্দিকীর দল থেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হবেন এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল নানা গুঞ্জন। এবারই প্রথম নয়, এর আগে ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন মুরাদ।
তবে বড় দুই দলের বাইরে গিয়েও ২০০১ সালে প্রায় ৭০ হাজার, ২০০৮ সালে ৪০ হাজার ৪৫৬ এবং ২০১৪ সালে ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট পান তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতিতে তিনি নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন। আওয়ামী লীগে যোগদানের চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগে যোগ দিতে না পারলেও পরে মুরাদ সিদ্দিকী আবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে টাঙ্গাইল-৫ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হচ্ছেন এমনটি শোনা যাচ্ছিল।
কিন্তু সোমবার মুরাদ সিদ্দিকীর পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামের কাছ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়।
মুরাদ সিদ্দিকী বাংলানিউজকে জানান, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, মুরাদ সিদ্দিকীর বড় ভাই আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মেঝ ভাই আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) ও টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উপ-নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হয়ে কাদের সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ঋণখেলাপির কারণে উচ্চ আদালত তাকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। এবারও একই কারণে তার মনোনয়ন জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
কোনো কারণে তার প্রার্থিতা আটকে গেলে তাদের ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী এ আসন থেকে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এসআই