তবে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার পর কিছু আসনের প্রার্থী নিয়ে চারদিকে যখন সমালোচনার ঝড় বিশেষ করে কক্সবাজার-৪ আসনে আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীনা আক্তার এবং টাঙ্গাইল-৩ এ আমানুর রহমান খানের পরিবর্তে তারা বাবা আতাউর রহমান খানকে নিয়ে বির্তকের জবাব দিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেছেন, বদি-রানা সাতটি জনমত জরিপে এগিয়ে, তারপরেও বিতর্ক এড়াতে আমরা মনোনয়ন দেইনি।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, যুগ্ম সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যাকে প্রার্থী দিয়েছি সে অপরাধী? সে অপরাধী কিনা এটা দেখতে হবে। বদিকে দেইনি তার ‘কন্ট্রোভারসি’ আছে। সেজন্যই দেইনি পরিষ্কার কথা। কোনো গোপনীয়তা নেই। কন্ট্রোভারসি আছে, কন্ট্রোভারসিকে আমরা অ্যালাউ করি না। রানার বাবা সারাজীবন আওয়ামী লীগ করেছেন। এমনকি তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এখন তার ছেলে কারাগারে। তাও প্রমাণিত হয়নি সে খুনি। সে যে খুনি এটা আদালতে প্রমাণ হয়নি। বিতর্ক এড়িয়ে চলার জন্যই আমরা তার বাবা...পরিচয়ে বাবা। কিন্তু উনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমরা তাকে দিয়েছি।
তিনি বলেন, একটা কথা বলি এতো সব বির্তকের মধ্যেও বদি ও রানা সাতটি জনমত জরিপে এগিয়ে। সেখানে আমরা তাদের দিতে পারতাম, তারপরেও তাদের মনোনয়ন দেইনি। আমাদের টার্গেট আমরা নির্বাচনে জিতবো। আমরা দু’টি পরিবার থেকে দু’জনকে মনোনয়ন দিয়েছি। যাদের দিয়েছি তারা তো অপরাধ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এসকে/এসএম