'জনবিচ্ছিন্ন যতো দলছুটই বিএনপির সঙ্গে হাত মেলাক, জনসমর্থনহীন নেতাদের দিয়ে বিএনপির ভাঙা হাট আর জমবে না। সারাদেশে নৌকার গণজোয়ারে বিএনপি জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে'।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের তার সমর্থনে ব্যাপক উপস্থিতি দেখিয়ে বলেন, একজন বলেছিলো একমাস পর চেহারা বদলে যাবে, কিন্তু কি দেখলেন আপনারাই (সাংবাদিকদের উদ্দেশে) বলেন। লাখো জনতার উপস্থিতি কি জনসমর্থন নয়?
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, নির্বাচন চাইলে এ মুহূর্তে তারা সিইসির পদত্যাগ চাইতো না, এটা নির্বাচন বানচালেরই ইঙ্গিত। আমি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করতে চাই না, তাই আমার গাড়িতে পতাকা নাই, আমি বাংলো ব্যবহার করি নাই, সরকারি গাড়ি নিয়ে আসি নাই, এটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নয়?
কাদের দুপুর ১টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফয়সাল আহমেদের কাছে এবং দুপুর দেড়টায় কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শরীফুল ইসলামের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে, ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীর বসুরহাট বাজারে পৌঁছালে কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনতা তাকে স্বাগত জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এসময় ফেনী-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলের মনোনীত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের মহাজোট সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হা, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, বসুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রেয়াজুল হক লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
আরএ