এ নিয়ে মনে অন্তরজ্বালা থাকলেও কেউ মুখ খুলছেন না। শেষ অবধি আসনগুলোতে এককপ্রার্থী হিসেবে কাদের নাম উঠে আসে তা জানতে ও দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে দলটির কয়েকজন নেতা বলছেন, ‘কৌশলগত কারণে একেকটি আসনের বিপরীতে একাধিক প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আগ মুহূর্তে এসে প্রত্যেকটি আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এ নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই বলেও জানান নেতারা। তবে বিএনপির এসব নেতারা নাম প্রকাশে রাজি হননি’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাতটি আসনের মধ্যে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. শোকরানা ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলামকে, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম ও যুগ্ম সম্পাদক এম আর ইসলাম স্বাধীনকে, বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় অভিযুক্ত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মোমিন তালুকদারকে। যিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া তার স্ত্রী মাসুমা মোমিনকে, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে জিয়া কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা ও জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ভিপি সাইফুল ইসলামকে এ আসনে সোমবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পরই তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি সবার নজরে আসে।
বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা, শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জানে আলম খোকা ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজকে, বগুড়া-৬ (সদর) আসনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া (যিনি বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে রয়েছেন), বগুড়া পৌরসভার মেয়র একেএম মাহবুবর রহমান ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাকে এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (যিনি বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে রয়েছেন), গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটন ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুর ইসলাম তালুকদারকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আসন ছাড়া বাকি আসনগুলোতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা চরম টেনশনে সময় পার করছেন। কেননা এক আসনের বিপরীতে একাধিক দলীয় প্রার্থী থাকায় শেষ মুহূর্তে কাকে চূড়ান্তভাবে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে সে বিষয়টি প্রার্থীদের চরমভাবে ভাবিয়ে তুলেছেন। তবে এ নিয়ে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া কোনো প্রার্থী কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
এমবিএইচ/এসআরএস