মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে আশরাফ উদ্দিন নিজান দলীয় মনোনয়নপত্র নিয়ে কমলনগরে এবং সন্ধ্যায় রামগতি গেলে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে। আসন্ন নির্বাচনে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিএনপি থেকেই প্রার্থী চাইছেন, শরিক নয়।
এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ওই আসনে নির্বাচন করতে চাইছেন। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিলও করেছেন। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নিজানকে চাইছেন তাদের প্রার্থী হিসাবে। শেষ পর্যন্ত কে হবেন চূড়ান্ত প্রার্থী তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে জেএসডি’র নেতাকর্মীরা ঐক্যফ্রন্টের নেতা হিসাবে আ স ম আবদুর রবকে প্রত্যাশা করছেন। তিনি ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ১৯৯৬ সালে জাসদ থেকে এ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, তারা বিগত দশ বছর সরকারের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বহু মামলা-হামলারও শিকার হতে হয়েছে। ঘর-বাড়িতে থাকতে পারেনি, ভয় ও আতঙ্কে পার হয়েছে তাদের দিন। সেসময় তাদের পাশে থেকে সাহস ও সহযোগিতা করেছেন নিজান। এছাড়াও তিনি বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালে রামগতি ও কমলনগরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এ আসনে বিএনপির বিকল্প অন্য কেউ হতে পারেন না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রামগতির রামদয়াল বাজারে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নিজান বলেন, রামগতি-কমলনগরের জনগণ আমাকে ভালোবেসে দুইবার নির্বাচিত করেছেন। আমি যতদিন বেঁচে থাকি তাদের ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে চাই।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন আমার হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হবে, সেদিন কে দায়িত্ব নেবে। আমি আমার নেতাকর্মী ও সুহৃদদের আহ্বান জানাচ্ছি ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষ করুন। ১০ তারিখ মার্কা দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেবো।
লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি ও কমলনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত। দুই উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। বিএনপির এ ঘাঁটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার ৮৪৭ জন। এরমধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৮১ নারী ও ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৬ জন পুরুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
এসআর/এসআরএস