বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জাহিদ। জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন।
বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি কেউ দণ্ডপ্রাপ্ত হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না হাইকার্টের এমন আদেশ আপিল বিভাগেও বহাল থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমি আপিল করেছিলাম। কিন্তু বিচারক নো অর্ডার লিখেছেন। আমরা আদেশ পেলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আইনের মধ্যেই নির্বাচন করার সুযোগ পাবো।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব ও ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. জাহিদ বলেন, আমি বা অন্য কেউ প্রার্থী হবেন, সেটি কোনো বিষয় না। বিষয় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মূলত খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে। খালেদার মুক্তির আন্দোলন ত্বরান্বিত করতেই আমাদের এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ।
জাহিদের পর ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনেই দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদও মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি নিজেও ডা. জাহিদের সঙ্গে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নগর বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরজাহান ইয়াসমিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রব রতন আকন্দ এই দু’জনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
এমএএএম/ওএইচ/