তবে মির্জা আব্বাসের পক্ষে মনোনয়ন দাখিল করতে আসা খন্দকার সিকান্দার কাদের বলেন, আমরা সাড়ে ৪টার সময় অফিসে গেলে আব্বাসের ছবি দেখেই তারা বলে সময় শেষ হয়ে গেছে।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা-৯ আসনে আব্বাসের পক্ষে মনোনয়ন দাখিল করতে গেলে এ অবস্থা তৈরি হয়।
পরে রিটার্নিং অফিসার বরাবর লেখা একটি আবেদন করা হয় মনোনয়ন জমা নেওয়ার জন্য। তাতে উল্লেখ করা, সময়ের আগে এলেও সিরিয়াল থাকার কারণে তাদের পর্যন্ত আসতে দেরি হয়। এজন্য ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
খন্দকার সিকান্দার কাদের বলেন, আমরা বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা-৯ আসনের মনোনয়ন দাখিলের জন্য আসি। আমাদের আগে অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন জমা হলেও আমাদেরটা নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের কাগজ জমার জন্য নিয়েছিলো কিন্তু আব্বাস ভাইয়ের ছবি থাকায় সঙ্গে সঙ্গে বলা হয় এটা আর জমা হবে না। জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়ে গেছে। মিডিয়ার সামনে বিকেল ৫টা থেকে তিনবার করে জমা নেওয়ার কথা বলা হয়। প্রতিবার মনোনয়ন জমার রুমে ডেকে একটু পর আবার বের করে দেয়।
মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি আবেদন করেন তারা। পরে ৭টা ১৫ মিনিটে পুলিশ তাদের দ্রুত কার্যালয় ত্যাগ করতে বললে তারা বেরিয়ে যান।
এ বিষয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা জানান, এখন জরুরি মিটিং আছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে মির্জা আব্বাসের পক্ষে একই ব্যক্তিরা ঢাকা-৮ আসনে মনোনয়ন দাখিল করেন। এদিন মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর পক্ষে ঢাকা-৯ ও ঢাকা-৮ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।
রমনা থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মাদ শাহ জালাল বলেন, বুধবার শেষ দিন পর্যন্ত মোট ২১৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
ইএআর/এএ