বুধবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের শরিক আওয়ামী লীগের নেতারা।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. ইকরামুল হক টিটু’র নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং অফিসার ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
এই সময় মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল সেলিমসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রওশন এরশাদ। সেবার জোটগতভাবে জাতীয় পার্টিকে চারটি আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ।
এর মধ্যে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসন থেকে দলটির সংসদ সদস্য এমএ হান্নান মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে থাকায় আসনটিতে রওশন এরশাদ নিজেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। তিনি বলেন, ত্রিশাল ও সদরে রওশন এরশাদ নির্বাচন করবেন। ঈশ্বরগঞ্জ আসনে লড়বেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফখরুল ইমাম। ত্রিশালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।
‘মুক্তাগাছায় আসনটি এবার আওয়ামী লীগের। আমরা আশাবাদী জোটের স্বার্থেই মুক্তাগাছার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। ’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হবে। ময়মনসিংহ বিভাগ ও সিটি করপোরেশন রওশন এরশাদের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। এখানে জোট অনেক সুসংহত। আমরা আশাবাদী ময়মনসিংহে জোট ভালো করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
এমএএএম/এইচএ/