শনিবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ১ ডিসেম্বর সরকারিভাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার জনগণ ডিসেম্বর মাসে কোনোদিন পরাজিত হয়নি। চক্রান্তকারীদের পরাজিত করতে হবে। শুধু জামায়াতের ৩০ আসনেই নয়, প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ‘বিজয় মঞ্চ’ গঠনের মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত করতে হবে। একাত্তরের ঘাতক ও তাদের পরিবারের কাছে ধানের শীষ তুলে দিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে তাদের চরিত্র পরিবর্তন হয়নি।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে হবে। তাদের চক্রান্ত রুখে দিতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবার তাদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে হবে।
বিএনপির সঙ্গে জোট করা নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখনো সময় আছে। আপনারা লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। বিএনপি ছেড়ে জনগণের পক্ষে আসেন। জনগণ ভণ্ড-প্রতারকদের বিশ্বাস করে না। এমপি হওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এবার চূড়ান্ত লড়াই হবে। তিনি নেতাকর্মীদের ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে মহাজোটকে জয়ী করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপি কামাল হোসেনকে সামনে রেখে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লায় ধানের শীষ তুলে দিয়েছে। দাঁড়িপাল্লার সঙ্গে একাকার হওয়ার অর্থই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র থামেনি। তিনিও নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয় লাভের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহ্বান জানান উপস্থিত নেতাকর্মীদের।
সমাবেশ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস