তিনি বলেছেন, (বিএনপি) প্রার্থী দেবে ৩০০। এর মধ্যে ঐক্যফ্রন্ট অাছে, সবাই তো বিএনপি না।
মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রার্থীর বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা যারা প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, অনেক প্রার্থী ওই নেতাদের বাড়িতে গিয়ে ধরনাও দিচ্ছেন। আমাদের কাছে খবর আছে- সেইসব বিএনপি নেতা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
অভিযোগ করে কাদের বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। এজন্য তাবলিগ জামাতসহ অনেকের ওপর ভর করার চেষ্টা করছে।
‘আর নয়াপল্টন হচ্ছে মিথ্যাচারের ফ্যাক্টরি। সেখানে একজন আবাসিক নেতা রয়েছেন, যিনি সব সময়ই মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন,’ বিএনপি নেতা রিজভীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নামকাওয়াস্তে নেতা। ঐক্যফ্রন্টের পিএম (প্রধানমন্ত্রী) ফেস নাই, তারা কাকে পিএম করবে সেই প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কার করে নাই।
‘বিএনপির ভাঙাহাট, অাস্তে অাস্তে অারো ভাঙবে। তারা বুঝেগেছে নির্বাচনে জিততে পারবে না। তাই ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিনিয়ত বিএনপির বড় বড় নেতারা অাচারণবিধি লঙ্ঘন করছেন। ’
জিয়া পরিবারকে নিশ্চিত করা বিষয়ক বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিহাস বলে, জিয়া পরিবারই বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সব ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপদে কারা বিদেশ পাঠিয়েছিলো, ইমডেননিটি অধ্যাদেশ জারি করে কারা খুনিদের বিচার বন্ধ করেছিলো, কারা পঞ্চম সংশোধনী করেছিলো, বিএনপি করেছিলো।
‘১৫ আগস্টের নেপথ্যে তারাই ছিলো, খুঁজলে তাই বেরিয়ে আসবে। তারাই আবার সেই খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, পুনবার্সিত করেছে। আমাদের নেত্রীকে লক্ষ্য করে ২১ আগস্ট বোমা হামলা ঘটিয়েছিলো। এর বিচার হয়েছে। আদালত রায় দিয়েছেন। আমরা জিয়া পরিবারকে নিশ্চিত করবো কিভাবে, তারাই তো বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো, যা ইতিহাস প্রমাণ করছে,’ বলেন সেতুমন্ত্রী কাদের।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত আদেশ দিয়েছেন। এখানে রাজনৈতিকভাবে আমরা তাদের হয়রানি করিনি।
সম্প্রতি সাতকানিয়ার এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী এক নির্বাচনী সভায় বলেছেন, ‘নির্বাচনে জিতলে সবাই মিলে ভাগ করে খাবো। ’
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, আমি বিষয়টি জানি না, খোঁজ-খবর নিয়ে দেখি। তবে সাইবার অপরাধ চলছে। আসলেই উনি এসব বলেছেন কি-না তা খতিয়ে দেখবো।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীমসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮/আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা
এসএম/এমএ