তিনি বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) খোলস ভেঙে তাদের আওয়ামী চেহারাটা ততো উন্মোচন হয়ে পড়ছে। ক্ষমতাসীন দলের ছকের মধ্য থেকেই কাজ করছেন কেএম নুরুল হুদা।
বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির প্রার্থী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র কেবল যাচাই-বাছাই ও বাতিল করা হয়েছে গণহারে। বিএনপি হলেই অবৈধ আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেই বৈধ। আওয়ামী লীগের এইচটি ইমাম যে তালিকা সিইসিকে দিয়েছেন, তা-ই বৈধ বলে প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন জেলার রিটার্নিং অফিসাররা।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের বোধোদয় হচ্ছে না, ৭৫ সালের মতো এই এইচটি ইমাম যেকোনো মূহুর্তে চোখ উল্টে দিতে পারেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে সরকারের মনোবাঞ্ছা বাস্তবায়ন করার পর এখন মাঠের নিয়ন্ত্রণ যাতে ক্ষমতাসীন দলের হাতেই থাকে, সেজন্য নির্বাচন কমিশন কখনও প্রকাশে আবার কখনও পর্দার অন্তরালে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
‘ইসি নোটিস দিচ্ছে নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে পোলিং এজেন্টদের তালিকা তাদের দিতে হবে। আর এই তালিকা ধরে নতুন করে ধরপাকড় শুরু করার নীলনকশা এটা। গাজীপুর, রাজশাহী ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা এমন পরিস্থিতি দেখেছি। ’
রিজভী বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা প্রশাসনে রদ-বদলের দাবি করে এলেও মনে হয় আসাহাব কাহাবের মতো ইসিও দীর্ঘকাল ঘুমিয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
টিএম/টিএ