ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দীর্ঘদিন পর ‘পাশাপাশি’ হুদা-আব্বাস

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৮
দীর্ঘদিন পর ‘পাশাপাশি’ হুদা-আব্বাস ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও মির্জা আব্বাস

ঢাকা: দীর্ঘ আট বছর পর একসঙ্গে দেখা গেলো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও মির্জা আব্বাসকে। পাশাপাশি বসে তারা নানা আলাপচারিতায় মেতে উঠলেন। আলাপচারিতার বিষয়ে চলমান রাজনীতি, নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এলেও এর মধ্যে ছিলো খোশগল্পও।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা ফিরে পেতে শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদনের শুনানিতে আসেন দেশের রাজনীতিতে প্রভাবশালী এই দুই ব্যক্তি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠানকালীন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

কিন্তু ৬ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি বিএনপির বাইরে।

২০১০ সালের ২১ নভেম্বর (রোববার) নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে দলের সব স্তর থেকে বহিষ্কার করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। বিদেশ থাকায় সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সে সময় নাজমুল হুদা ছিলেন বিএনপির ১ নম্বর ভাইস চেয়ারম্যান।

নাজমুল হুদাকে বহিষ্কার করার কয়েক মাস পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে আবার দলে ভেড়েন তিনি। এরপর ২০১২ সালের ৬ জুন তিনি নিজেই দল থেকে পদত্যাগ করেন। ওই বছরের ২৩ মে খালেদা জিয়াকে সংলাপে বসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রস্তাব দেওয়ার অনুরোধ জানালে সে অনুরোধ না রাখায় নিজেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হুদা।

পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১০ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে একটি দল গঠন করেন তিনি। তবে কিছুদিনের মাথায় তাকে এ দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

তিন বছর বিরতি দিয়ে ২০১৫ সালে তৃণমূল বিএনপি নামের আরেকটি দল গঠন করেন সাবেক এই যোগাযোগ মন্ত্রী।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনে যে মনোনয়নপত্র তিনি দাখিল করেছেন, তাতে কোনো দলের নাম কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী, কোনোটাই উল্লেখ করেননি। রিটার্নিং কর্মকর্তা এজন্যই তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলে নির্বাচন কমিশন তাকে শুনানির জন্য সময় দেয় ৮ ডিসেম্বর (শনিবার)।

এদিকে মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করে বৈধতা পেয়েছেন। কিন্তু সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেন। আর এ আবেদনের শুনানিতে অংশ নিতে আব্বাসও ইসিতে আসেন।

নির্বাচন ভবনের ১১তলায় শুনানির জন্য স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসের বাইরে তারা দু’জনেই পাশাপাশি প্লাস্টিকের দুই চেয়ারে বসেন। তাদের নিবিড় আলাপচারিতায় শুনানিতে আসা অন্যরাও উৎসাহ বোধ করেন। অনেককেই বলতে শোনা যায়-এমন চিত্র দেখা যায়নি দীর্ঘদিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
ইইউড/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।