রোববার (৯ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চূড়ান্ত মনোনয়ন জমা দেন তিনি। এসময় অভিযোগপত্রও রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বিএনপি প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ও বালাগঞ্জ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর নির্দেশিত হয়ে কাজ করছেন। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সিলেট-৩ আসনের অন্তর্গত ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি নেতা সুফিয়ানুল করিমকে এসপির সামনে হাজির করার কথা বলে রাতের আঁধারে তুলে আনেন থানার ওসিসহ সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা। অথচ এসপির কাছে গেলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি। পরে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসিকে ভৎসনা করেছেন এসপি। বিএনপি নেতা সুফিয়ানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকার পরও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ দাবিতে সড়ক অবরোধের অভিযোগ এনে তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের নিয়মে ঘরোয়া বৈঠকে বিধিনিষেধ না থাকলেও নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে গিয়ে হয়রানি করছেন বালাগঞ্জ থানার ওসি। নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে লাথি মেরে দরজা ভেঙে দিচ্ছেন। এ কারণে দুই ওসির প্রত্যাহার চেয়েছেন শফি চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এনইউ/আরবি/