মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের গোডাউন রোড এলাকায় এ্যানীর বাসভননের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন এখন কারাগারে অন্তরীণ আছেন।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে নেমেছে। দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ঐক্যফ্রন্টের সাতদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। ২০১৪ সালে ভোটবিহীন নির্বাচনের নামে দেশকে জিম্মি করে একটি সন্ত্রাসমূলক নির্বাচন করা হয়েছে। রাজনৈতিক বাক-স্বাধীনতাকে আওয়ামী লীগ এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। ১৯৭৪ সালের বাকশালের মত গুম ও হত্যা করেছে। দলের বহু নেতাকর্মীকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার ও নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। বিগত ৫ বছরে তারা লক্ষ্মীপুরের অর্ধ-শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এ্যানী বলেন, আওয়ামী লীগ আসন্ন নির্বাচনে ভোটের পরিবর্তে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি সৃষ্টি ও হুমকি দিচ্ছে। তাদের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের প্রচারে বাধা দিচ্ছে। পোস্টার ছিনিয়ে নিচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার বাসায় হামলার চেষ্টা চালায়। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসন ও নির্বাচনের কমিশনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহবুব আলম মামুন ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এসআর/ওএইচ/