ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কবিরহাটে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
কবিরহাটে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এসময় নির্বাচনী অফিস ও কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় কবিরহাট বাজারের বিভিন্ন স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে সকালে কবিরহাট বাজার জিরো পয়েন্টে নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পথসভা করার কথা ছিলো।

সকাল থেকে ওই স্থানে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে একত্রিত হতে থাকে।  

বেলা ১১টার দিকে ঘোষবাগ থেকে বিএনপির মিছিল আসার সময় কবিরহাট দক্ষিণ বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্ট ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা।

কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে অতর্কিত হামালা চালায়। পরবর্তীতে হামলাকারীরা তার বাড়ি, বিএনপির নির্বাচনী অফিস ও বিভিন্ন দোকানে ভাংচুর করে। ’

‘হামলায় কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন, জাসাসের সভাপতি আবদুস সাত্তার, নরোত্তমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, কবিরহাট পৌর যুবদলের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন ও প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোমিত ফয়সলসহ অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন। ’

‘সকালে পথসভায় আসার পথে উপজেলার ভূঁইয়ারহাট, শাহজীরহাট, কাচারিরহাট, কালামুন্সী বাজার, ব্যাপারীহাটসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির মিছিলেও হামলা চালানো হয়’— বলেও অভিযোগ বিএনপির এ নেতা।

কবিরহাট উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে কবিরহাট দক্ষিণ বাজারের নবারুণ একাডেমির সামনে বিএনপির মিছিল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইসমাইলসহ দলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। বিএনপির হামলায় জলিল, ইসমাইলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ’

আহতদের মধ্যে ইসমাইলকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান বাংলানিউজকে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সব ধরনের সহিংসতা এড়াতে বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।