মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে এস এস রোড এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
এতে অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা, নেতাকর্মীদের মারপিট ও মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, ‘প্রচারণার প্রথম দিনেই বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা সংঘাত সৃষ্টি করেছে। খুন, সন্ত্রাসই তাদের রাজনীতি। তারা আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল, কুদ্দুস, মোস্তফা নাজমুলকে হত্যা করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গত ২০ বছরে কেউ খুন-সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলতে পারবে না। নিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। তারা নিজেরা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অন্যের ওপরে দোষ চাপাতে চাচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাত-পা ধরে ভোট চাইতে নির্বাচন কমিশন নিষেধ করেনি। অথচ তারা সেটা না করে নির্বাচন বানচাল করতে ব্লেইম গেম খেলে চলেছে। তারা দলের প্রার্থী এখনো ঠিক করতে পারে নাই। গায়েবিভাবে আহতের কথা বলে মিথ্যা গুজব ছড়ালেও কোনো হাসপাতালেই তাদের লোকজন ভর্তি নেই। ’
বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের মারপিটে আহত আওয়ামী লীগ নেতা ছানু, কামরুল ও জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সয়দাবাদ, কোনাবাড়ী, কড্ডার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান, বিমল কুমার দাস, অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, আব্দুল বারী সেখ, যুগ্ম-সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি প্রমুখ।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইবি রোড এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতাকর্মীদের মারপিট, দলীয় কার্যালয় ও বাড়িঘর ভাংচুরসহ তাণ্ডব চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘নিশ্চিত পরাজয়ের আশঙ্কায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। সোমবার সকালে কামারখন্দ উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। এসময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দল লতিফকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। রাতে চক শিয়ালকোল এলাকায় হামলা চালিয়ে ১৫-১৬ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করে। বিএনপি নেতা জিব্রাইলের বাড়ি ভাংচুর, যুবদল নেতা ইসহাক আলীর গো-খামার ও বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। ’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান লেবু, মির্জা মোস্তফা জামান, হারুন অর রশিদ হাসান, নাজুমল হাসান তালুকদার রানা, আবু সাঈদ সুইট, অমর কৃষ্ণ দাসসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
জিপি