আব্দুস সালাম মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সভাপতি ওসমান গণি শাজাহানকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ধরপাকড়ের অভিযোগ দিয়ে বের হয়ে যান। আধাঘণ্টা পরে আবার ফেরত এলে সাংবাদিকরা কারণ জানতে চান।
তিনি বলেন, ইসি থেকে বেরিয়ে পথে শাহজাহানকে নামিয়ে দেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে যখন যাই, তখন ফোন আসে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন শাহজাহানকে ধরে নিয়ে গেছে।
এসময় তিনি বারবার বলতে থাকেন, ‘এভাবে ক্যামনে নির্বাচন করবে। ’
সালাম বলেন, আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনের সামনের এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ জানিয়েছে তারা এমন কোনো ব্যক্তিতে আটক করেননি।
তিনি বলেন, বিষয়টি মর্মান্তিক ও দুর্ভাগ্যজনক। নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে নির্বাচন হবে? অভিযোগ জানিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন ভবনের কয়েকশো গজের মধ্যে বিএনপি নেতাকে আটকের ঘটনা বিস্ময়কর।
‘আমি ইসি সচিবকে জানিয়েছি আপনাদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই কীভাবে আমার একজন কর্মী আটক হয়? এটা কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপতৎপরতার আরেকটা জ্বলন্ত প্রমাণ নয়? আমরা নির্বাচন কমিশনেও নিরাপদ না? আমরা কোথায় যাবো, আমরা কি নির্বাচন করবো না?’
সালাম আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি অপারগ হয়, তাহলে নির্বাচন না করতে আমাদের বলে দিক, কমিশন কারো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। কমিশন তাহলে আমাদের নেতাকর্মীদের মানা করে দিক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাম বলেন, সচিব জানিয়েছেন সিইসির সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি দেখবেন।
আব্দুস সালাম আরো বলেন, আটক ওসমান গণি শাহজাহানের বিরুদ্ধে কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। সব মামলায় জামিন থাকার পরও এভাবে আটক করে নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচন করা অসাধ্য হয়ে যাবে। ধরপাকড়ের নেতাকর্মীরা ভয়ে মাঠে নামতে পারছেন না।
বিএনপির এই নেতা বাংলানিউজকে বলেন, ধরপাকড়ের কারণে আমরা এখনো পোস্টারই টাঙাতে পারছি না। কর্মীদের পাওয়া যাচ্ছে না।
১০ ডিসেম্বর প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা প্রচারণায় নেমেছেন। গত তিনদিনে মিরপুর, ফার্মগেট, শ্যামলী, শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিএনপির প্রার্থীদের পোস্টার নেই।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
ইইউডি/এএ