এ ঘটনায় দলটির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার আফসার আলী অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামে মান্নান তালুকদারের পথসভা ছিলো। এ সময় আওয়ামী লীগও পাল্টা মিটিংয়ের মাইক বের করে। আমরা কুসুম্বী যাবার পথে বিনোদপুর এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ আমাদের ওইখানে পসভা করতে নিষেধ করে পার্শ্ববর্তী বিনোদপুরে পথসভা করতে বলে। আমরা সেখানেই পথসভা করি। ওই সভায় মান্নান তালুকদার বক্তব্য রাখার পর গাড়িতে উঠছিলেন। এমন সময় আওয়ামী লীগের ২০/৩০ জন ক্যাডার এসে আমাদের ওপর হামলা করে এবং প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বারুহাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মী সমাবেশ ছিলো। সেখানে বিএনপি প্রোগ্রাম দিয়েছে। সেখানে তারা সভা করতে না পেরে বিনোদপুর বাজারে এসে বিএনপির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর আক্রমণ করে। এতে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ মিটিং
বানচাল করতে এবং নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশে নিজেরাই নিজেদের গাড়ি ভাঙচুর করে আমাদের দোষারোপ করার পায়তারা করছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কুসুম্বী এলাকায় দু’পক্ষই মিটিং ডেকেছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে গাড়ি ভাংচুরের বিষয়টি আমাদের চোখে পড়েনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
এনটি