বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে নৌকার প্রার্থীরা প্রতিকূলতায় পড়ছেন দাবি করে রিজভী বলেন, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে।
রিজভী দাবি করেন, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জানতে পেরেছে-ক্ষমতা এবার হাতছাড়া হয়ে যাবে। আমাদের কাছে প্রমাণসহ তথ্য আছে, গত ১০ ডিসেম্বর পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে গোপন বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠকে বড় ধরনের নাশকতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে এসব হামলা ও নাশকতার দায়ভার চাপাবে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ওপর।
বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার জন্য যা যা করার দরকার আওয়ামী লীগ তাই করবে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন বানচালও করে দিতে পারে তারা। সেই কারণে আমরা দলের পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবির ঘণ্টাখানেক পরেই তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁচদিন আগে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সারাদেশে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে মহড়া দিচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এসব অপরাধের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেফতারের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। গ্রেফতারের নামে মানুষকে পণ্য বানিয়ে বাণিজ্য করছে পুলিশ। বিনা কারণে পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশ আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে। নতুন মামলায় বিস্ফোরক ও মাদক দিয়ে কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।
পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে রিজভী বলেন, নির্বাচনী হাওয়া কাদের অনুকূলে বইছে সেটি উপলব্ধি করতে চেষ্টা করুন। আপনারা সরকারের কথা বিশ্বাস করে জনগণের প্রতিপক্ষ হবেন না। জনগণের পক্ষে দাঁড়ান। দুঃশাসনের অবসানের জন্য আপনারাও অবদান রাখুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
এমএইচ/আরআর