শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের কলাবাগান এলাকায় আয়োজিত এ প্রেস ব্রিফিং এ প্রতিবাদ জানানো হয়। এসময় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য খাগড়াছড়িতে দ্রুত সেনা মোতায়েনেরও দাবি জানানো হয়।
এসময় খাগড়াছড়ির বিএনপি প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভুইয়া, তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু, দলের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ চৌধুরীসহ বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রচারকাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া হামলা, বাধা দেওয়ার চিত্র তুলে ধরে শহিদুল ইসলাম বলেন, রিটার্নিং অফিসার ও স্থানীয় প্রশাসন অভিযোগ দেওয়ার পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বৃহস্পতিবার রাতে জেলার দীঘিনালার বেতছড়ি এলাকায় সালাম মেম্বরের দোকান ভাঙচুর করে মালামালসহ ২টি কম্পিউটার, মোবাইল ফোন সেট লুট করে নিয়ে যায় এবং দোকানের ফ্রিজ ভাঙচুর করে। অথচ উল্টো দীঘিনালা থানায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ ৭৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের এবং ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নৌকার প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ (শুক্রবার) জেলার দীঘিনালার শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, হেডম্যান কার্বারীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে সমাবেশ আয়োজন করে আপ্যায়ন এবং প্রতিজনকে ১ হাজার করে টাকা দিয়ে তার পক্ষে কাজ করার জন্য প্রভাবিত করেছেন। বিভিন্ন উপজেলায়ও একই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
এডি/এসএইচ