ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘খামোশ’ বললেই জনগণ চুপ হবে না, কামালকে হাসিনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
‘খামোশ’ বললেই জনগণ চুপ হবে না, কামালকে হাসিনা বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও তাদের স্বজন, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ায় গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, খামোশ বললেই জনগণ চুপ হবে না।

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, মতিউর রহমান নিজামীসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অন্যান্য সাজাপ্রাপ্তদের স্বজনদের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, কামাল হোসেনরা এ লজ্জাটা কোথায় রাখবে? আমার এটাই প্রশ্ন।

‘তারা লজ্জা পায়? নাকি পায় না?’

ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খামোশ (চুপ) বললেই কি মানুষের মুখ খামোশ হয়ে যাবে? খামোশ বললে মানুষের মুখ খামোশ হবে না, মানুষকে খামোশ রাখা যাবে না। ’

আরও পড়ুন>>>জামায়াত নিয়ে প্রশ্ন করায় কামাল বললেন ‘খামোশ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যাদের আমরা পরাজিত করলাম তাদের দোসরদের ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হল! একই ধানের শীষ নিয়ে যারা এক সময় আমাদের দলে ছিল, এখন বিএনপি জোটের সঙ্গে চলে গেল তারা কিভাবে নির্বাচন করবে? এ প্রশ্নের জবাব কি তারা জাতির কাছে দিতে পারবে। ’

‘তবে তাদের লাজ-লজ্জা কম আছে। একজন প্রশ্ন করতেই তাকে খামোশ বলে দিলো। ’

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজাপ্রাপ্তদের স্বজন ও অভিযুক্ত এবং জামায়াত নেতাদের সঙ্গে ধানের শীষ নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে এক সাংবাদিককে খামোশ বলেন ড. কামাল হোসেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা এত বড় বড় কথা বললো সেই কামাল হোসেন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, কাদের সিদ্দিকী তো তার মেয়েকেও ধানের শীষ দিয়ে ইলেকশনে। আমাদের মান্না এত তাত্ত্বিক লেখা, এত সুন্দর সুন্দর কথা, এতো জ্ঞানগর্ব কথা… কোথায় গেল সে বিবেক। তাদের সেই বিবেকটা গেল কোথায়?

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা আজকে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ওই ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে রয়েছে তারা রাজনীতিটাকে কোথায় নামিয়েছে। মনে হয় রাজনীতিটাকে অপরাধী জগতের রাজনীতিতে পরিণত করেছে। ’

‘রাজনীতি হবে মানুষের কল্যাণে, দেশের মঙ্গলে, উন্নয়নের জন্য আজকে সেখানে এ অপরাধী যদি এসে যায় তাহলে দেশের ভাগ্যে কি ঘটবে?’

অপরাধীদের ভোট না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অপরাধীদের ভোট দেবেন না। এ অপরাধীরা যেন আর কখনো নির্বাচিত হতে না পারে। যেসব অঞ্চলে এরা দাঁড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত করুন। সম্পূর্ণ ভাবে এদের বয়কট করুণ। ’

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, শাহে আলম মুরাদ।

শহীদ সন্তানদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন নুজহাত চৌধুরী, শমী কায়সার।

সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগ উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।