শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে ইবি রোড এলাকার জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যার দিকে টহল পুলিশের একটি গাড়ি ইবি রোড এলাকায় টহল দিচ্ছিলো।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির কর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক সরকারসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিকেলে সিরাজগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুমানা মাহমুদের পার্টি অফিসে আসার কথা ছিল। তার আসার আগে আওয়ামী লীগের একটি প্রচার মিছিল থেকে বিএনপি অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সন্ধ্যার পর শত শত কর্মী-সমর্থক নিয়ে রুমানা মাহমুদ দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন। এসময় ইসলামিয়া কলেজ রোডে পুলিশ বাধা দেয়। এতে দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ’
জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা মিডিয়া সেলের প্রধান হারুন-অর-রশিদ খান হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপির নারীকর্মী মেরির চোখে গুলি লেগেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। পুলিশের ছররা গুলিতে দলের প্রার্থী রুমানা মাহমুদও বিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ, সহ-সভাপতি হাবিব, যুবদল নেতা রাজু আব্দুল্লাহ, ছাত্রদল কর্মী রানা, পাপ্পুসহ ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন’ বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘কড্ডার মোড় এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে দিগন্ত ও সীমান্ত নামে আহত দুই বিএনপি কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। ’
সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা ধানবান্ধি, কালিবাড়ী, আমলাপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে নৌকার পোস্টার পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা নিজেরা নির্বাচনী মাঠে না থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণাতেও বাধা দিচ্ছেন’ বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
জিপি