আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করে বলছেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত অফিসে হামলা চালিয়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে চেয়ার ভাঙচুর করেছে। তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, তাদের স্থানীয় অফিস ও প্রচারণার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের ভোমরার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় চরসাদিপুর ইউনিয়নের ভোমরার মোড়ে স্থানীয় বিএনপির নেতারা বিএনপির নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বাধা দেয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় বিএনপি নেতা ডা. নাসির উদ্দিন ও সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বয়েনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ভোমরার মোড়ে অবস্থিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিসের সামনে জড়ো হয়ে তার অফিস ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ বিষয়ে তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, জামায়াত নেতা সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে বিএনপি সমর্থকরা আমার ব্যক্তিগত অফিসে হামলা চালায়। তারা পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। এসময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, চরসাদিপুর ইউনিয়নে বিএনপির নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করতে লোক পাঠিয়েছে। তারপর ব্যবস্থা নেবো।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান (ওসি) জানান, ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ