শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি ঘটনাটির বিস্তারিত বর্ণনা করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জীবনে অসামান্য তাৎপর্যপূর্ণ।
১৯৭২-৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রণীত আইনগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারা আমার কাছে সর্বদাই আবেগ অনুভূতির বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শুধুই শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যান।
এতে তিনি আরও বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্মৃতিসৌধের বেদিতে দাঁড়িয়ে আমি বলেছিলাম, আমরা কতো মেধাবী সন্তানদের হারিয়ে তবে স্বাধীনতা পেয়েছি। তখন হঠাৎ করে বেদিতেই আমার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলো। আমি তাৎক্ষণিক সবিনয়ে বলি, আজকের এই দিনে, যেখানে আমাদের গভীর অনুভূতির বিষয়, এই বিষয়ে এখানে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। পুনরায় একই প্রশ্ন তুললে আমি একই মনোভাব ব্যক্ত করি।
কিন্তু তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্যে থেকে কোথাও অনবরত দুই থেকে তিনবার আমি শুধু ‘জামাত জামাত’ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। এ বিষয়ে আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য যদি কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকে, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
সকলে অবগত আছেন যে, আমি সারাজীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সামিল থেকেছি।
আশা করি, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা তাদের জীবনের বিনিময়ে যে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আমরা সকলে মিলে গড়তে সক্ষম হবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
টিএম/টিএ