সরকারের উদ্দেশ্য ভয়ভীতির অভিযোগ তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, হামলা-মামলা করে বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের এই উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বগুড়া শহরের উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে দেশের সার্বিক নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।
দেশে বর্তমানে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন অসহায়। পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানছে না। সরকারের নির্দেশে চলছে পুলিশ প্রশাসন। এরপরও নির্বাচনী মাঠে আছি আমরা। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।
ত্বত্তাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ জামায়াত ও জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলো উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের সেই দাবি মেনে নিয়ে বিএনপি তখন ত্বত্তাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলো।
‘সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিনটি নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনগুলো নিয়ে কেউ কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলেনি। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিলো। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করলো’।
আওয়ামী লীগ সরকার কোনো প্রতিশ্রুতি মানছে না মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলার তালিকা চাইলো। সেই তালিকা দেওয়া হলো। কিন্তু কোনো কাজ হলো না। উল্টো মামলা-হামলা বেড়েই চলছে। প্রতিদিন দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এতো কিছুর পরও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে থাকবে। কারণ বিএনপি মনে করে জনগণই সব ক্ষমতার উৎস।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, বগুড়ার বিভিন্ন আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী ছাড়াও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষ করে মির্জা ফখরুল বগুড়া-০৬ (সদর) আসনে তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ শুরু করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
এমবিএইচ/জেডএস