শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পৃথক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস সালাম মূর্শেদী এ অভিযোগ তোলেন।
মহানগর দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তার দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সিফলতলা ইউনিয়নের নেতা রুহুল বিশ্বাস, রবিউল আমার নির্বাচনী কাজ যখন করছিলেন তখন গুপ্তি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাদের আঘাত করেন। রুহুল বিশ্বাসের পেটের মধ্যে গুপ্তি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এতে তার খাদ্যনালী কেটে যায়। আজকে (শনিবার) তার অপারেশন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তার দলীয় নেতাকর্মীদের তাণ্ডবে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারছেন না। গত ৪/৫ দিনে তিন উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধির ধারও ধারছেন না।
আক্ষেপ করে হেলাল বলেন, এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, ডিসি, এসপি, টিএনওকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগ চাইছে না বিএনপি নির্বাচনী মাঠে থাকুক। তাই যদি হবে, তাহলে সরকার ঘোষণা করে দিক, বিএনপির নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি এসএম শফিকুল আলম মনা, সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু, বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ, মেজবাউল আলম, মনিরুল হাসান বাপ্পী, মোল্লা খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।
অপরদিকে, খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেন, ধানের শীষের প্রার্থী নিজে উপস্থিত থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছেন। ধানের শীষে ভোট না দিলে নির্বাচনের পর দেখে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন তারা। এমনকি তারা বর্তমান সরকারের অভাবনীয় সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ধানের শীষের প্রার্থী ও তার দলীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে মিথ্যাচার করছেন। নির্বাচনে ভরাডুবি বুঝতে পেরে বিএনপির প্রার্থী মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে চলেছেন।
সালাম মুর্শেদী তার সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যের একটি অংশে বলেন, আমার নির্বাচনী আসন রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়ার প্রতিটা জনপদে আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক প্রার্থী যে যার মতো করে স্বাধীনভাবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কাউকে নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছেন না। কেউ কারো পোস্টার ছিঁড়ছেন না। স্থানীয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যথা নিয়মে মাঠে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন, তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চুসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
এমআরএম/আরবি/