শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ইশতেহার ঘোষণার সময় দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গণঐক্য ক্ষমতায় গেলে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে অর্থ সংক্রান্ত যেসব দুর্নীতি ব্যাংকিং খাতকে কলুষিত করেছে তার পুঙ্খানুপঙ্খ তদন্ত করা হবে।
ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ আইন ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ইন্টারেকশন তদারকিতে আইন প্রণয়ন করা হবে বলেও জানান ববি।
তিনি বলেন, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স সিস্টেম ডিজাইন ফিচারসমূহ সংস্কারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জাল বাড়ানো হবে।
ঋণের শ্রেণি বিভাগ সংক্রান্ত আইন কঠিন করে খেলাপিদের আইনের আওতায় আনার কথাও বলেন এনডিএমের চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ঋণ বহুমুখী নীতি মেনে চলতে বাধ্য করা হবে। সরকারি ব্যাংকের কার্যকলাপ এবং কার্যক্রম তদারকির মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতের সার্বিক উন্নয়নে ম্যাক্রো প্রুডেনশিয়াল নীতি প্রণয়ন করা হবে।
‘এতে দেশের সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। এজন্য অ্যাসেট প্রাইস বাবেল তৈরিতে নজর দেওয়া, ব্যাংকসমূহের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা, ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে কঠোর হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে,’ যোগ করেন ববি হাজ্জাজ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গণঐক্য বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা এবং মার্জিং ল্যান্ডিং বিধি নিষেধ জোরদারের উদ্যোগ নেবে এনডিএম। স্টক একচেঞ্জসমূহকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানবান্ধব করা, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনকে সরকার ও মন্ত্রণালয়ের প্রভাবমুক্ত করার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ সংস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
এসই/এমএ