রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ির পানখাইয়াপাড়া এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভূ রঞ্জন চাকমা।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল কান্তি চাকমা, যুব বিষয়ক সম্পাদক প্রনব চাকমা, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক প্রীতিময় চাকমা, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রনিক ত্রিপুরা, ইটছড়ির হেডম্যান সাথোই মারমা, যুব লক্ষণ চাকমা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, জনসংহতি সমিতি ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে। যেহেতু সরকার চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে আমরা নৌকার পক্ষে অবস্থান নেবো।
বক্তারা আরও বলেন, এতো বছরেও চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না করায় আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের দুঃখ-ক্ষোভ আছে, তারপরও আমরা এখনো শেখ হাসিনার সরকারের ওপর আস্থা রাখতে চাই। এ কারণে পার্টি নৌকা প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপি এবং ইউপিডিএফের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, ইউপিডিএফ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। পার্বত্য চুক্তির বিরোধীতার মধ্য দিয়ে সংগঠনটির জন্ম। তাই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা আদিবাসীদের বিভক্ত করে রাখছে।
অপরদিকে, বিএনপি এ চুক্তিকে কালো চুক্তি আখ্যায়িত করে আসছে। খাগড়াছড়িতে বিএনপির শাসনামল খুব ভয়াবহ ছিল। গডফাদার ওয়াদুদ ভূঁইয়া এবার বিএনপির হয়ে তার ভাতিজা শহিদুল ইসলামকে মনোনীত করেছে। তাদের কাছ থেকে কোনো কিছু আশা করা যায় না। তাই নৌকার পক্ষেই আমাদের অবস্থান থাকবে।
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার পক্ষে প্রচারণা চালানো হবে বলেও সভা থেকে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮
এডি/আরবি/