এছাড়া জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে এসে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকীও তাকে ওষুধ সেবনের অনুরোধ জানান। তবে লতিফ সিদ্দিকী জানিয়েছেন— ‘তার মৃত্যু হলেও দাবি পূরণ না হলে অনশন ভাঙবেন না’।
** কোনো ক্ষতি হলে নির্বাচন কমিশন দায়ী
** লতিফ সিদ্দিকীর ‘অবস্থানে’র প্রতিবাদে কুশপুতুল দাহ
প্রবীণ এ রাজনৈতিক ব্যক্তি ১৬ ডিসেম্বর (রোববার) দুপুর থেকে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। লতিফ সিদ্দিকী হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ কর্মসূচির চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
তার সমর্থকরা জানান, কর্মসূচি শুরু করার পর থেকে তিনি খাদ্যও গ্রহণ করেননি। মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি চলাকালীন লতিফ সিদ্দিকীসহ তার শুয়ে থাকা চৌকিটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বারান্দায় তোলা হয়। দুপুরের পর ওই কার্যালয়ের সামনে একটি টিন শেডের নিচে নেওয়া হয় তাকে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মোফাজ্জল হোসেন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সুজাউদ্দিন তালুকদার ও রাশেদুল হাসান লতিফ সিদ্দিকীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান, লতিফ সিদ্দিকীর হৃদস্পন্দন কমে গেছে। রক্তচাপও বেড়েছে। এর আগে তিনি ‘হার্ট অ্যাটাকে’ আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার হার্টে দু'টি রিং পরানোয় রয়েছে। ওষুধ খাওয়া বাদ দেওয়ায় তিনি ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
জিপি