অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক ৩৮টি মামলা মাথায় নিয়ে রয়েছেন কারাগারে। এখন শুধু খবরের কাগজে তার বিজ্ঞাপন শোভা পাচ্ছে।
জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন সাধ্যমত গণসংযোগ করছেন। পোস্টার দেখা যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি রবিউল ইসলামের। এছাড়া বাসদের মই প্রতীকের প্রার্থী নিত্যানন্দ সরকার ও এনপিপির আম প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার রহমানের প্রচার নেই বললেই চলে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সাতক্ষীরা-২ আসনে একক প্রার্থী মনোনয়নে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ’
আবার অনেকেই মনে করছেন, ‘জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থেকে গেলে তিনি জামায়াত-বিএনপির কিছু ভোট টানতে সক্ষম হবেন। সেক্ষেত্রে নৌকার প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এগিয়ে যাবেন। ’
অন্যদিকে সাতক্ষীরা-২ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিষয়েও তরুণ ভোটাররা উচ্ছ্বসিত হলেও সংশয়ে রয়েছেন জ্যৈষ্ঠ নাগরিকরা। সেক্ষেত্রে খুব কম ভোট কাস্ট হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বাংলানিউজকে বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিতে সাতক্ষীরা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। ’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাতলুব হোসেন লিয়ন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা সাধ্যমত গণসংযোগ করছি, সাধারণ মানুষের সাড়াও পাচ্ছি। এজন্য আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ২০ দলীয় জোটের একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৫৬ হাজার ১৮৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ এত লাখ ৭৭ হাজার ২৩৪ জন ও মহিলা এক লাখ ৭৮ হাজার ৯৫০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
জিপি