মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ১৪ দলের নেতারা এ ঘোষণা দেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ১৪ দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাতক্ষীরায় নৌকার পোস্টার ছিঁড়ছে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। আমরা আইন হাতে তুলে নিতে রাজি নই, তাই আমরা কারও পোস্টার ছিঁড়ছি না। বিরোধীদল গুজব ছড়াচ্ছে। তারা মিথ্যাকে সত্য বানানোর চেষ্টা করছে। তারা ভোটকেন্দ্র দখল করার হুমকিও দিচ্ছে। আর আমরা ভোটকেন্দ্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যুদ্ধাপরাধী, আগুন সন্ত্রাসী, ২০১৩-১৪ সালে গাছ কাটা, ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে হত্যাকারী চক্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে তার গাড়িবহরে হামলাকারীদের প্রতিহত করতে সাতক্ষীরার মানুষ ঐক্যবদ্ধ।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি যখন আগামী সরকার গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন নাশকতা মামলার আসামিরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা সাতক্ষীরার চারটি আসনের মহাজোট প্রার্থীকে বিব্রত করতে উস্কানিমূলক কাজ করছে। নির্বাচনের আগে ও পরে জামায়াত বিএনপি কোনো সন্ত্রাস করার চেষ্টা করলে ১৪ দল সর্বশক্তি দিয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সোমবার রাতে তালার জিয়ালা নলতায় বোমা ফাটিয়েছে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।
২০০২ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার সাক্ষীদের জামায়াত-বিএনপি হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে নেতারা বলেন, জাতি এখন একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ। ২০১৩-২০১৪ সালের মতো সেই সুযোগ তারা আর পাবে না। তাই তারা গুজব ছড়াচ্ছে।
এ সময় তালা-কলারোয়া আসনের বিএনপি প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নাম উচ্চারণ করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, তিনি তালার বিএনপি নেতা আলতাফ হত্যা এবং সাতক্ষীরার বিএনপি নেতা আমান হত্যা মামলা নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে নেই। এজন্য তিনি নানা গুজব ছড়াচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে হত্যা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ১৪ দল নেতারা বলেন, সাতক্ষীরায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এককভাবে প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া বামগণতান্ত্রিক জোট জামায়াত ও বিএনপির বি টিম হিসেবে কাজ করছে।
জেলা জাসদের সহ-সভাপতি ও ১৪ দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহির সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবু সায়ীদ, জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা ফাহিমুল হক কিসলু, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য তারিকুল ইসলাম, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর, উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
আরএ