একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন যতো এগিয়ে আসছে, ততই প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন এ দুই আসনের প্রার্থীরা।
ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ তুলেও আসন দু’টিতে মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি পুরোদমে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি।
এদিকে, দু’টি আসনে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে থাকা এম এ কুদ্দুস খান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার প্রচারণা শুরু করেননি। কিন্তু তার দাবি দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। যদিও ব্যানার-পোস্টার না থাকায় তা দৃশ্যমান নয় বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।
আসন দু’টি থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর জাপা প্রার্থী এমএ কুদ্দুস খানকে আর তেমনভাবে দেখা যায়নি। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে বিচ্ছিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা চালালেও, নেই কোনো পোস্টার ও নেতাকর্মীদের উদ্যোমী গণসংযোগ।
এ বিষয়ে জাপা প্রার্থী এম এ কুদ্দুস খান বাংলানিউজকে বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা মহাজোটের সঙ্গে আছি। আবার মহাজোটের বাইরে রয়েছি। এ ব্যাপারগুলো রাজনীতির জন্য কতটা ভালো বা কতটা মন্দ তা আপনারাই ভালো জানেন।
শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ থাকায় ঢাকায় চলে আসায় নির্বাচনী এলাকায় এখনো যেতে পারিনি। তবে ২/১ দিনের মধ্যে এলাকায় গিয়ে প্রচার-প্রচারণায় মাঠে থাকবেন বলে জানান জাতীয় পার্টির এ প্রার্থী।
তথ্যানুযায়ী ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বজলুল হক হারুন ও ধানের শীষ প্রতীকর প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর ও ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন আমু ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জীবা আমিনা খান নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
তবে, আসন দু’টিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, গাড়ি ও অফিস ভাংচুরের অভিযোগ ক্ষমতাসীনদের কিছুটা বিব্রত করলেও, তাদের দাবি বিএনপি কর্ম-সমর্থরা এগুলো করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভোটারদের মতে, দু’টির মধ্যে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বজলুল হক হারুন ও বিএনপির মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের মধ্যেই মূলত ভোটের লড়াই হচ্ছে।
তথ্যানুযায়ী এ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বজলুল হক হারুন ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে, আমির হোসেন আমু ১৯৭৩ সালে তৎকালীন ঝালকাঠী-রাজাপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে, এর আগে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে জয় লাভ করেন। এছাড়া তিনি সপ্তম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অন্যদিকে বিগত সময়ে এ আসন থেকে ইসরাত সুলতানা ইলেন ভূট্টো বিএনপির মনোনয়ন পেলেও এবারই প্রথম জীবা আমিনা মনোনয়ন পেয়েছেন।
এছাড়া দুই আসনে বাকি প্রার্থীদের মধ্যে ঝালকাঠি-২ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জাহাঙ্গীর হোসেন খান এবং ঝালকাঠি-১ আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রবীর কুমার মিত্র, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন প্রচারণায় অন্যদের থেকে এগিয়ে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/