বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নানক এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা না বলে বিএনপি তাদের পক্ষ অবলম্বন করেছে।
বিএনপির ইশতেহারে সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও অর্থপাচারে বন্ধের কথা উল্লেখ করার ব্যাপারে নানক বলেন, এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা মাত্র। কারণ তারা ক্ষমতায় যখন ছিল তখন তারেক-কোকো (তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান) অর্থপাচার করেছে। সেই অর্থ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারেক রহমান একজন দুর্নীতিবাজ। তাকে দলের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য রাতারাতি গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে তারা। তাদের মুখে এটা হাস্যকর।
এক প্রশ্নে জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আসলে বিভিন্ন সময় বিএনপি আইএসআই এর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে। এ বৈঠকের পর আমরা বুঝতে পেরেছি তারাই নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে সেই ইশতেহার জনগণকে উজ্জীবিত ও আশাবাদী করেছে। কিন্তু বিএনপির ইশতেহারে জনগণ চরম হতাশ হয়েছে। এখন জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কাদের বেছে নেবে। বিএনপির ইশতেহার রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর ইশতেহার। সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা তুলে দেওয়ার বিষয়টি তরুণদের সঙ্গে প্রহসন মাত্র। আর এতে সমস্যা আরও বাড়বে।
দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলার জনগণ নির্বাচন করবেই করবে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণ বিএনপিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে নানক বলেন, জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করে পার পাবে না। বিজয়ের মাসে মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে তাদেরকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করবে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সরে যাচ্ছে উল্লেখ নানক বলেন, আওয়ামী লীগের সব বিদ্রোহী সরে গেছে। চারজন আছেন, তারাও সরে যাবেন। নইলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, বিজ্ঞান সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, তথ্য সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮/আপডেট ১৬০৩ ঘণ্টা
এসকে/এসএইচ/এইচএ/