খুলনা-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মহানগরীর কেডি ঘোষ রোডে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
মঞ্জু বলেন, গায়েবি মামলাগুলোর দ্রুত চার্জশিট দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করার কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি মেট্রোপলিটন পুলিশ খুলনা সদর থানার পুরাতন দুইটি মিথ্যা মামলায় চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে। ৫ দিন আগে আমরা খবর পেয়েছিলাম কেএমপিতে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আগের গায়েবি সব মিথ্যা মামলার দ্রুত চার্জশিট দিয়ে বিএনপির প্রার্থী ও সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করিয়ে সবাইকে কারাগারে পাঠাতে হবে। তাহলেই নির্বাচনী মাঠ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরানো যাবে এবং সেই ফাঁকা মাঠে সরকারি দলের প্রার্থীকে জেতানো যাবে। তাছাড়া নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক গায়েবি মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করে, যার মধ্যে ১৭০ জন এখনো জেলহাজতে আটক রয়েছেন।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, নির্বাচনী মাঠ থেকে বিএনপিকে সরানোর এই ষড়যন্ত্র যেন কোনোভাবেই বাস্তবায়িত না হয় তার জন্য দ্রুত সিইসিকে অবহিত করে সব পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া কোনো মিথ্যা মামলায় চার্জশিট দিয়ে যেন গ্রেফতারি পরোয়ানার অসৎ ব্যবহার করা না যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, খেলাফত মজলিস ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা নসিরউদ্দিন, জেপি সভাপতি মোস্তফা কামাল, মুসলিম লিগ সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, রেহানা আক্তার, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, নজরুল ইসলাম বাবু, মহিবুজ্জামান কচি, আজিজুল হাসান দুলু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এমআরএম/এইচএ/