শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে আহত ছাত্রলীগকর্মী মিরাজের মা পান্না বেগম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নং ৪৪।
মামলায় আসামি করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান, সাবেক দফতর সম্পাদক শেখ সামী তাপুসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৪ জন নেতাকর্মীকে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী পান্না বেগমের অভিযোগ- শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার ছেলে আল মিরাজ ও তার বন্ধু বশির দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিণপাড়ার জহুরুলের চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলো। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামিরা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা করে। উপর্যপুরী কুপিয়ে জখম করে মিরাজ ও বশিরকে। নিশ্চিত হত্যার উদ্দেশ্যে মিরাজের পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। মামলার এজাহারে আসামিদের স্থানীয় সন্ত্রাসী বলেও অভিযোগ আনা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল খালেক মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার সকালে বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। ছাত্রলীগের অর্ন্তকোন্দলে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাই সুষ্ঠ তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদর থানার উপ-পরিদর্শক ভবতোষ ঘোষকে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’ পক্ষের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৯
এএটি