ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

সরকার বদলের জন্য তিন বছর অপেক্ষা করুন: নেতাকর্মীদের প্রতি মওদুদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১০
সরকার বদলের জন্য তিন বছর অপেক্ষা করুন: নেতাকর্মীদের প্রতি মওদুদ

ঢাকা: কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিয়ে সরকার বদল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনের অপেক্ষা করতে বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ্। তাঁর ভাষায়, আমাদের হাতে তিন বছর সময় আছে।

তাই হঠকারিতার পথে না গিয়ে ধীরে ধীরে এগোতে হবে।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মওদুদ বলেন, জনগণ বলছে হরতালের প্রয়োজন নেই। একটি তারিখ নিধারণ করে নির্বাচন দিলে জনগণই এ সরকারের সকল হঠকারিকতার জবাব দিয়ে দেবে।


মওদুদ আরও বলেন, ‘যতই দিন যাচ্ছে ততই পরিষ্কার হচ্ছে, একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং হঠকারির পথ বাদ দিয়ে ধীরে ধীরে এগোতে হবে। ’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি এক ইফতার মাহফিলে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে ঈদের পর সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সাম্প্রতিককালে খালেদা জিয়া একাধিকবার বলেছেন, সরকারকে আর থাকতে দেওয়া যায় না।   অথচ ব্যারিস্টার মওদুদ হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান তুলে ধরলেন। পাশাপাশি তিনি সরকারের মেয়াদ শেষে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নিলেন।


এদিকে বুধবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে বিএনপি নেতা হান্নান শাহ বলেছেন, ঈদের পর সরকার পতনে দুর্বার আন্দোলন শুরু হবে। তাই নেতাকর্মীদের এজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  

অনুষ্ঠানে মওদুদ বলেন, ‘গণতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে যতগুলো মেকানিজম আছে সরকার তার সবক’টিই পাকা করেছে। সরকার জনগণের সামনে দাঁড়াবার সাহস হারিয়েছে। কারণ সরকার নিজেও বুঝে ফেলেছে, জনগণের স্বার্থরক্ষা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের সব ধরনের অপকর্ম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোনো চেষ্টা তাদের নেই। কেবল গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে যতগুলো  যতো মেকানিজম আছে তার সবক’টিই অনুসরণ করছে তারা। ’

তিনি আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জিয়া পরিবার ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য যে ধারার সূচনা হয়েছিল, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের আমলেও তা অব্যাহত আছে। ’

ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি ডা. মো. সাইফুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুস্তাহিদুর রহমান, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক, মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএসএমএমইউ- এর সাবেক প্রভিসি অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান মিয়া, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মবিন খান, অর্থোপেডিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।