ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

২০১৯’র জামায়াত দেশপ্রেমিক: কর্নেল অলি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
২০১৯’র জামায়াত দেশপ্রেমিক: কর্নেল অলি সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ১৯৭১ সালের জামায়াত আর ২০১৯ সালের জামায়াত এক নয়। এরা বাংলাদেশের। এ দেশকে তারা ভালোবাসে। তাদের মধ্যে অনেক সংশোধনী এসেছে। তারা নিজেদের মধ্যে বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তারা দেশপ্রেমিক শক্তি। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনয়াতনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদের পুনর্নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘জাতীয় মুক্তিমঞ্চ’ গঠনের ঘোষণা দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এসময় চার পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অলি আহমদ। তার উত্থাপন করা দাবিগুলো হলো- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদের পুনর্নির্বাচন, অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, দেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা, জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিশন গঠন, দেশের শিক্ষিত যুবকদের নিয়োগে অগ্রাধিকার, গুম ও খুন বন্ধের পদক্ষেপ, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, লিগ্যাল এইড কমিটি গঠনের ঘোষণা, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও হয়রানি বন্ধ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, ভেজাল ও নকল ওষুধ বন্ধ, খাদ্যে ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ড, কৃষক যেন ন্যায্যমূল্য পায় তার ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক সমতা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, জাল ভোট প্রদানকারী ও সাহায্যকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, বন্ধ সব মিডিয়া খুলে দেওয়া, দুর্নীতি দমন আইনের বৈষম্য দূর করা, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সংবিধান অনুযায়ী সুযোগ সৃষ্টি করা।

বক্তব্যের শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এলডিপি সভাপতি বলেন, যারা দেশকে ভালবাসে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চায়, দেশবাসীকে মুক্ত করতে চায়, সবাইকেই সঙ্গে রাখব, তবে বেঈমানদের নয়।  

তিনি বলেন, আমি যখন বললাম, মধ্যবর্তী নির্বাচন চাই, তখন সবাই মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জানালো। আসলে মধ্যবর্তী নির্বাচন সঠিক কথা নয়। ওটা আমি পরীক্ষা করার জন্য বলেছিলাম। আসল কথা হলো, পুনর্নির্বাচন। মধ্যবর্তী নির্বাচন চাইলে তো আগের নির্বাচন মেনে নেওয়া হয়।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, আমার ডানে-বামে মুক্তিযোদ্ধারা বসে আছেন। আমার সামনে যারা বসে আছেন, এদের অনেকে ইতোমধ্যে মতামত দিয়েছেন, অনেকে সময় নিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে কারা কারা আছেন, যথাসময়ে তালিকা প্রকাশ করবো।

এটা নতুন কোনো জোট কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা জোট কেন হবে? আমরা ২০ দলীয় জোটে আছি। জোটের মূল দল বিএনপি ২০ দলীয় জোটে থেকেই কামাল হোসেনের সঙ্গে কাজ করছেন। ১৩ মে ২০ দলীয় জোটের সভায় নজরুল ইসলাম খান পরিস্কারভাবে বলেছেন, আপনারা যে যেভাবে পারেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নিজ নিজ মঞ্চ থেকে আন্দোলন শুরু করেন।

বিএনপির কিছু নেতা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেছে, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, আমি বিএনপির কথা বলিনি। বলেছি, আমাদের অনেকে সরকারের সঙ্গে দালালি করছে বলে জাতির এ অবস্থা।  

এরা কারা? জানতে চাইলে কর্নেল অলি বলেন, আপনি সাংবাদিক। আপনি যে দালালদের চেনেন না, এটা সত্য কথা না। যদি বলেন, চেনেন না, তাহলে আমি চিনিয়ে দেবো। আপনি সিনিয়র লোক, আপনি চেনেন, কারা কীভাবে ২০-৩০ বছর যাবৎ দালালি করছে।

এসময় এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আহমেদ উল্লাহ ও জাতীয় আন্দোলনের সভাপতি মুহিব খান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এমএইচ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।